বিচারের অর্থ (এটি কী, ধারণা এবং সংজ্ঞা কী)

বিচার কী:

ন্যায়বিচার হ'ল প্রয়োজনীয় মূল্যবোধের একটি সেট, যার ভিত্তিতে একটি সমাজ এবং রাজ্য ভিত্তিক হতে হবে। এই মানগুলি সম্মান, সাম্যতা, সাম্যতা এবং স্বাধীনতা।

আনুষ্ঠানিক অর্থে বিচার হ'ল সংশোধিত নিয়মের একটি সেট যা রাজ্য, সক্ষম জীবের মাধ্যমে, যখন তারা অসম্মানিত হয়, তখন সেই পদক্ষেপ বা নিষ্ক্রিয়তাকে দমন করে যা সাধারণ ভালোর প্রভাবকে সৃষ্টি করে।

ন্যায়বিচার শব্দটি লাতিন আইস্টিটিয়া থেকে এসেছে যার অর্থ "ন্যায়বিচার" এবং আইস শব্দটি থেকে এসেছে ।

ন্যায়বিচারের প্রকার

ন্যায়বিচার প্রয়োগের জন্য চারটি পদ্ধতি বা উপায় রয়েছে:

বিতরণ বিচার

এটি সম্পদ বা সংস্থানসমূহের ন্যায়সঙ্গত বিতরণের উপর ভিত্তি করে, এমনভাবে যাতে সমস্ত নাগরিক উপকৃত হয়।

এটি ন্যায়বিচারের প্রশাসনের একটি উপায় যা এরিস্টোটালিয়ান চিন্তাধারার দ্বারা আসে এবং যার প্রয়োগ প্রয়োগে বিতর্কিত হয়েছে, প্রদত্ত যে এই জাতীয় বন্টন জড়িতদের পক্ষে উপকারের জন্য বিবেচনার জন্য যে মানদণ্ড বিবেচনা করতে হবে তাতে কোনও imক্যমত নেই।

কিছু লেখকের জন্য এটি অবশ্যই ন্যায়বিচারকে বঞ্চিত করবে (যে প্রতিটি ব্যক্তি তাদের প্রয়াস অনুসারে তারা প্রাপ্য সম্পদ অর্জন করে)। অন্যান্য ক্ষেত্রে, সাম্যের ধারণাটি বিরাজ করে (সমস্ত লোককে সমান পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে), অন্য লেখকরা বিশ্বাস করেন যে বৃহত্তর প্রয়োজনে সম্পদ আরও বিতরণ করা উচিত।

পুনরুদ্ধার ন্যায়বিচার

এই ধরণের ন্যায়বিচার শিকারের শাস্তির চেয়ে বরং ভুক্তভোগীর সুস্থতার দিকে মনোনিবেশ করে। এই অর্থে, যা চাওয়া হয়েছে তা হ'ল বস্তুগত বা প্রতীকীভাবে ক্ষতিটি মেরামত করা।

এই পদ্ধতির অনুসারে, ক্ষতিগ্রস্থ এবং নির্যাতিতাকে অবশ্যই ন্যায়বিচারের সন্ধানে যুক্ত হতে হবে। এটি করতে, ভুক্তভোগীকে অবশ্যই তার ক্ষতি বুঝতে হবে এবং তা সনাক্ত করতে হবে।

বলকারক বিচার একটি উদাহরণ পুনর্মিলন প্রোগ্রাম ভিক্টিম অপরাধীর (হয় ভিক্টিম-অপরাধীর সামঞ্জস্যবিধান প্রোগ্রাম ), সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় যেখানে দলগুলোর একসাথে পেতে তারা সম্পর্কে ঘটেছে কথা বলুন এবং পথ তাদেরকে প্রভাবিত, এবং কীভাবে ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করতে সম্মত হন।

কার্যনির্বাহী ন্যায়বিচার

এই ধরণের ন্যায়বিচার এমন নিয়মাবলী এবং বিধি প্রতিষ্ঠিত করে যা অবশ্যই সমস্ত লোককে সমানভাবে সম্মান করতে হবে এবং নাগরিকদের দোষে এইরকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রতিষ্ঠা করে।

এই ধরণের ন্যায়বিচার প্রয়োগ করার জন্য একটি নিরপেক্ষ মানদণ্ড থাকা প্রয়োজন, এবং এটির দ্বারা মামলা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞের প্রতিনিধিত্ব করা প্রয়োজন, অর্থাৎ একজন আইনজীবী।

কার্যনির্বাহী বিচারের প্রশাসন এই উদ্দেশ্যে আদালত এবং রাজ্য কর্তৃক নির্মিত সংস্থাগুলিতে পরিচালিত হয়।

প্রতিশোধ বিচার

প্রতিশোধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করে যে প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে সে একইরকম আচরণ করা উচিত, যেভাবে সে অন্যের সাথে আচরণ করে, অতএব, কোনও দোষের সময় তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এই ধরণের ন্যায়বিচারের প্রত্যাশাটি হ'ল প্রত্যাবর্তনমূলক প্রভাবটি অন্য মানুষকে অপরাধ করতে প্ররোচিত করে।

প্রতিশোধের ন্যায়বিচারের উদাহরণ হ'ল মানবাধিকার লঙ্ঘন, যেখানে অপরাধীদের সবসময় তাত্ক্ষণিক শাস্তি দেওয়া না হলেও অবশেষে তাদের স্থানীয় ন্যায়বিচার বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি শাস্তি দেয়।

আরও দেখুন:

• আইস । দায়মুক্তি।

সামাজিক ন্যায়বিচার

"সামাজিক ন্যায়বিচার" শব্দটির কোনও সুস্পষ্ট উত্স নেই, তবে এটি জানা যায় যে সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যে বিধিগুলি অনুসরণ করা হয়েছিল সেগুলি উল্লেখ করার জন্য ইউরোপে আঠারো শতকে এটি প্রয়োগ করা শুরু হয়েছিল।

এই অর্থে, একজন রাজতন্ত্রের বাধ্যবাধকতার একটি অংশ হ'ল আইন বা বিধিগুলি কী ছিল যা লঙ্ঘন হওয়ার ক্ষেত্রে সহাবস্থান এবং তাদের নিজ নিজ নিষেধাজ্ঞার অনুমতি দেয় provide

তবে এই শব্দটি 19 শতকের শেষদিকে শিল্প বিপ্লবের উত্থানের সাথে সাথে পরবর্তী পুঁজিবাদ এবং নতুন অর্থনৈতিক ও সামাজিক গতিবেগের সাথে নতুন ধারণা অর্জন করেছিল। সেই সময়ে, ব্রিটিশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন একটি সমাজের মধ্যে পণ্যগুলির সুষম বিতরণের প্রস্তাব দেওয়ার ধারণা গ্রহণ করার দায়িত্বে ছিল, যা বিতরণের ন্যায়বিচারের অ্যারিস্টোটালিয়ান দৃষ্টিভঙ্গির স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়।

১৯১৯ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে, বিশ্ব শ্রম সংস্থা তার সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে এই ধারণাটি অন্তর্ভুক্ত করেছিল, এবং প্রকাশ করে যে সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি কেবল তখনই সম্ভব।

১৯৩১ সালে, ক্যাথলিক চার্চ প্রথমবারের মতো তার সামাজিক মতবাদে এই শব্দটির উল্লেখ করেছিল, পোপ পিয়াস ইলেভেন ব্যবহার করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমাতে এমনভাবে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রয়োগ করা উচিত।

অন্যদিকে, ২০০ 2007 সালে জাতিসংঘের সংস্থা প্রতি বছরের ২০ শে ফেব্রুয়ারিকে সামাজিক ন্যায়বিচারের বিশ্ব দিবস হিসাবে ঘোষণা করে ।

আরও দেখুন:

• সামাজিক ন্যায়বিচার। সামাজিক ন্যায়বিচারের 6 টি উদাহরণ যা আপনাকে হাসিখুশি করে তুলবে।

মান হিসাবে ন্যায়বিচার

মূল্য হিসাবে ন্যায়বিচার হ'ল প্রতিটি ব্যক্তির নৈতিক নীতি যা বেঁচে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রতিটি ব্যক্তিকে যা তার নিজের বা তার নিজের তা প্রদান করে। ন্যায়বিচার সামাজিক, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলির অংশ, সেখান থেকে এর গুরুত্ব উত্পন্ন হয়।

ন্যায়বিচার এমন এক গুণ যা সকল ব্যক্তিকে অবশ্যই সুসংহত পদ্ধতিতে এবং তাদের নিজস্ব এবং সমাজের উভয়েরই সন্ধানে অনুশীলন করা উচিত।

যা প্রত্যাশা করা হয় তা হ'ল প্রতিটি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত সামাজিক রীতিনীতিগুলিকে সম্মান করে এবং সুরেলা পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণে অবদান রাখে। এবং অন্যায়ের পরিস্থিতিতে প্রতিটি ব্যক্তির জন্যই আদর্শ এবং নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করা আদর্শ the

এটি অর্জনের জন্য, ন্যায়বিচার পরিবার কর্তৃক অন্তর্ভুক্ত হওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা শক্তিশালী হওয়া, রাজ্য এবং এর সংস্থাগুলি দ্বারা সম্মানিত এবং সুরক্ষিত এবং সমাজ দ্বারা বাস্তবে প্রয়োগ করা উচিত।

এছাড়াও দেখুন

• মূল্যবোধসমূহ: সমাজের 10 টি গুরুত্বপূর্ণ মূল্য এবং তার অর্থ।

Ineশিক ন্যায়বিচার

Ineশিক ন্যায়বিচার হ'ল যা কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী বা মতবাদের পরিপূর্ণতার উপর নির্ভর করে Godশ্বরের দ্বারা প্রয়োগ করা হয়। খ্রিস্টান ধর্মে, এই নিয়মগুলি দ্য টেন কমান্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এক প্রকার ডিকলগলু যাতে একটি সুরেলা সহাবস্থানকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যে আচরণের নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করতে হবে তা নির্ধারিত হয়।

খ্রিস্টান দৃষ্টিকোণ থেকে আদেশগুলি পালন করতে ব্যর্থতা এর সাথে একটি divineশিক অনুমোদন বা শাস্তি নিয়ে আসে, যখন এর পরিপূর্ণতা salvationশ্বরের সুরক্ষা এবং.শ্বরের সুরক্ষার যোগ্য।

Divineশিক ন্যায়বিচারের সর্বাধিক প্রকাশ হ'ল সর্বশেষ বিচারকাজ, যা সেই ঘটনাকে বোঝায় যে পৃথিবীতে সমস্ত মানুষ যে কাজ করেছে তার জন্য সমস্ত মানুষকে বিচার করা হবে এবং সেখান থেকে তাদের চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করার জন্য প্রেরণ করা হবে বা প্রাপ্তি হবে স্বর্গীয় রাজত্ব, তাদের আচরণের উপর নির্ভর করে।

তাঁর পক্ষে, হিন্দু ধর্মে divineশিক ন্যায়বিচার কর্মের ধারণার সাথে জড়িত, একটি আইন যা প্রতিটি মানুষের মধ্যে তাদের কর্ম অনুসারে কার্যকর করা হয়। এটি একধরনের প্রত্যাবর্তনমূলক ন্যায়বিচার যেখানে প্রতিটি ক্রিয়াটির পরিণতি হয়, সুতরাং পরিণতিগুলি নেতিবাচক হয় না এবং বর্তমান বা ভবিষ্যতের জীবনকে প্রভাবিত করে, যাতে এটিকে উপস্থাপন করা হয়, এড়াতে এই ধর্মীয় মতবাদের নীতিমালা অনুযায়ী ভাল পদক্ষেপ গ্রহণ করা আদর্শ is পুনর্জন্ম ধারণা।

দর্শনে বিচার

ইতিহাস জুড়ে, অনেক দার্শনিক ন্যায়বিচারের ধারণাটি সংজ্ঞায়িত করার জন্য কাজ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রাচীন গ্রীস থেকে, প্লেটো বলেছিলেন যে ব্যক্তি অন্ধকার থেকে অজ্ঞতার গুহায় থেকে বের হওয়া উচিত, যেহেতু ব্যক্তি ঠিক একই মাপে পরিণত হয় যেহেতু সে জ্ঞানের অধিকারী।

এই অর্থে, আরও জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তি আরও সুন্দর হতে পারে, যা এই ধারণাটির অনুবাদ করে যে শাসনকর্তাদের কীভাবে পরিচালনা করতে হবে এবং ন্যায়বিচার কীভাবে করতে হবে তা জানার জন্য অবশ্যই বিস্তৃত জ্ঞান থাকতে হবে।

দার্শনিক এরিস্টটল ন্যায়বিচারকে সংজ্ঞা দিয়েছিলেন যে প্রত্যেক নাগরিককে তাঁর প্রয়োজনীয়তা এবং সমাজে তাঁর অবদান অনুসারে যা তার সাথে মিলে যায়, যা থেকে বিতরণের ন্যায়বিচারের নীতি শুরু হয়েছিল।

আলোকিত দার্শনিক ইনমায়েল কান্তের পক্ষে থাকাকালীন, একটি রাষ্ট্রের ন্যায়বিচারকে অবশ্যই তিনটি মৌলিক নীতির উপর নজর রাখতে হবে: ব্যক্তির স্বাধীনতা, তাদের মধ্যে সাম্যতা এবং একটি সম্প্রদায়ের প্রতিটি সদস্যের স্বাধীনতা।

তার পক্ষে, অস্ট্রিয়ান আইনবিদ এবং বিশ শতকের মহান প্রাসঙ্গিকতার দার্শনিক, হান্স কেলসেন ইঙ্গিত করেছিলেন যে ন্যায়বিচার একটি প্রাকৃতিক অধিকার যা ইতিবাচক আইনের উপর প্রাধান্য পায়, কারণ যদি এটি মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে যায় তবে তা হতে পারে না ন্যায়বিচার সম্পর্কে কথা বলুন।

প্রাকৃতিক আইনও দেখুন।

ন্যায়বিচারের প্রতীক

চোখের পাতায় জড়িত, এক হাতে একটি স্কেল এবং অন্য হাতে তরোয়াল রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির চিত্রের সাথে ন্যায়বিচারের প্রতিনিধিত্ব করা হয়।

ব্লাইন্ডফোর্ড হাইলাইট করে যে ন্যায়বিচার মানুষের দিকে নজর দেয় না এবং প্রত্যেকের জন্য একই। ভারসাম্যটি সেই রায়কে অন্তর্ভুক্ত করে যা ভারসাম্যের প্রতিটি পাশে উপস্থাপন করা যুক্তি এবং প্রমাণ রাখার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তরোয়াল প্রকাশ করে যে ন্যায়বিচার ভারী হাতে দোষীদের শাস্তি দেবে।

ন্যায়বিচারের প্রতীকও দেখুন।